প্রেম সবার জন্য নয়। কারণ সবাই প্রেমের জগতে সফল হতে পারে না। কেউ হারায়, কেউবা হারিয়ে বাঁচে। প্রেমিকাকে যেমন ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাখা যায় না। তেমনি চাইলেও অনেক ধন-দৌলত দিয়ে বেঁধে রাখাও বৃথা। যতক্ষণ দু’জনের মনের মিল, সম্মতি এবং সম্মানের জায়গা থাকে তখনই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়।

অন্যথায়, অংকুরেই বিনষ্ট হয় প্রেমের সম্পর্ক। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রেমিকা চলে গেলে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত হন পুরুষরা। কারণ অধিকাংশ পুরুষই একজন নারীকে নিয়ে জীবন গড়তে চান।

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অনেক পুরুষ আছে যারা অনেক আকাঙ্ক্ষা কিংবা প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও সিঙ্গেল থেকে যান। এমন নয় যে তারা একেবারেই অযোগ্য। তাদের থেকে তুলনামূলক কম যোগ্য ছেলেদেরও ঠিকই প্রেম হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের আর প্রেমে জড়ানো হয় না।

পুরুষের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে তারা তাদের নিজের সিদ্ধান্তেই সিঙ্গেল থাকেন। তারা প্রেম-ভালোবাসা থেকে দূরে থাকতে চান। এসব ছাড়াও আর কী কারণ থাকতে পারে পুরুষদের সিঙ্গেল থাকার পেছনে? চলুন জানা যাক সে সম্পর্কে।

মেয়েদের আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব একজন পুরুষকে দুঃখ দেয়। সঙ্গী বা যাকে পছন্দ সে যদি সম্মানের জায়গা ঠিক না রাখে তবে ছেলেরা সম্পর্ক থেকে পালাতে চায়।
অনেক পুরুষ আবার হতাশ হয়ে নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না। এতে করে মেয়েরা তাদের উপর বিরক্ত হয়ে চলে চায়।

পুরুষদের মধ্যে নিজের সম্পর্কে বাড়িয়ে বলার প্রবণতা রয়েছে। যা মেয়েদের অপছন্দ। কারণ বেশিরভাগ মেয়েই কর্মজীবনে প্রবেশের আগে প্রেমে পড়ে। সেক্ষেত্রে চাকরিরত পুরুষদের সফলতার গল্প বললেও মেয়েরা বিরক্ত হয়ে চলে যায়। আর এই ভয়ে ফের প্রেমে পড়ার সাহস হারায় তারা।

ধূমপায়ী পুরুষদের সঙ্গে প্রেমিকাদের নীরব লড়াই থাকে। কোনো একসময় হয় ধূমপান নয়তো প্রেমিকা ছাড়তে হয়। এতে করে ফের প্রেমে পড়ার সাহস হারায় পুরুষরা।